অবশেষে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটের উদ্দেশে দুবার ছেড়ে যায় রো রো ফেরি কুমিল্লা। শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় শতাধিক ও বিকেল ৫টায় ১০৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায় ফেরিটি।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর শিমুলিয়া ঘাট থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এবং পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন দক্ষিণবঙ্গগামী মোটরসাইকেল আরোহীরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু পার হতে গিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় করেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। কিন্তু ঘাট দিয়ে পার হওয়া তো আগেই বন্ধ হয়ে আছে। এতে হতাশ হয়ে কেউ ফিরে যান, কেউ দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে মানবিক দিক বিবেচনা করে শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে মোটরসাইকেল পারের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক বাণিজ্য শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেলা ১১টায় ফেরি কুমিল্লা শিমুলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ছেড়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে ১০৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘাট ছেড়ে গেছে একই ফেরি। আজ যেহেতু রাত হয়ে গেছে, আর কোনো মোটরসাইকেল পার করা হবে না।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেলগুলো পার করা হয়েছে।
এর আগে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার তিন দিন পর ২৮ জুন সর্বশেষ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাটে রওনা দেয়। নাব্যতা সংকটে ফেরিটি মাঝ পদ্মায় আটকে যায়। পরে চার ঘণ্টার চেষ্টায় ফেরিটি মাঝিরকান্দি ঘাটে পৌঁছায়। তারপর থেকে এ নৌপথে আর কোনো ফেরি চলেনি।