সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা সবচেয়ে বড় গরুটির নাম নবাব বাহাদুর। তিন বছর বয়সী গরুটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। সিন্ধি জাতের ওই ষাঁড়টিকে ঘিরে মালিক আব্দুল আহাদ সংসারে সচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন। কোরবানিকে সামনে রেখে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যে গরুটি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় রয়েছেন তিনি।
নবাব বাহাদুর বর্তমানে তাড়াশ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে জানিয়েছেন তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
তাড়াশ পৌর শহরের আসনবাড়ি মহল্লার এনছাব আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ। সংসারে সচ্ছলতা আনতে বাড়তি উপার্জনের আশায় অতিকষ্টে তিনি ষাঁড়টিকে তিন বছর যাবত লালন-পালন করছেন।
তিনি জানান, এই গরুটির চলাফেরা নবাবি। তাই নাম রাখা হয়েছে নবাব বাহাদুর। সে যেমন নবাবি খাবার ছাড়া ঠিক মতো খায় না, তেমনি পরিষ্কার জায়গা ছাড়া সে মলত্যাগ করে না। এমন নানান কারণে তার নাম নবাব বাহাদুর রেখেছি।
আব্দুল আহাদ বলেন, গরুটির আচরণ ও চালচলনও অনেকটা নবাবের মতো। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ফ্যানের বাতাস ছাড়া ঘুমায় না। ভালো মানের খইল, ভুষি না হলে খাদ্য গ্রহণ করে না। ১ হাজার ১০০ কেজি ওজনের সিন্ধি জাতের নবাব বাহাদুরকে কেনার জন্য প্রতি দিন ক্রেতারা আসছেন। আমি আট লাখ টাকা দাম চেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত ক্রেতারা সাড়ে ছয় লাখ টাকা বলেছেন।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলামব বলেন, আব্দুল আহাদের নাবাব বাহাদুরের ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি হওয়ায় এখন পর্যন্ত এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটি। গরুটি তিনি আট লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাইছেন। সাড়ে ছয় লাখ পর্যন্ত দাম হয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে নবাবের পাশাপাশি তাড়াশ উপজেলায় আরও ৭৬ হাজার ৮৭২টি পশু প্রস্তুত আছে। যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য উপজেলায় বিক্রি করা যাবে।