অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের সদর দপ্তরের ৬ষ্ঠ তলায় হামলা চালানো হয়। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তর যে ভবনে অবস্থিত সেখান থেকে ধোঁয়া উড়ছে এবং লোকজন দৌঁড়ে পালাচ্ছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, কাছাকাছি অবস্থিত অপর একটি ভবনে হামলার ঘটনাতেও তাদের সদরদপ্তর এবং আল-আমল হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা বলছে, এই হামলার কারণে লোকজনের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একদিন আগেও সদরদপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাতব্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজায় রাতভর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় একই পরিবারের কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনই শিশু। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ওয়াফা জানিয়েছে, আল মাগাজি শরণার্থী শিবির এবং গাজার মধ্যাঞ্চলেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি প্লেন থেকে লিফলেট বিতরণ করে আল নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে হিজবুল্লাহর স্থানীয় কর্মকর্তা হোসাইন ইয়াজবেকও রয়েছেন বলে স্বীকার করেছে সংগঠনটি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমার যোদ্ধারা যুদ্ধকে ভয় পায় না। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বাহিনীর হামলা বাড়ার ঘোষণা তিনি এখনই দিতে চাচ্ছেন না।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ শুরু হয়।