টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান-অফ নির্বাচনে কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজিত করে আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিশ্চিত করেন জনপ্রিয় এই নেতা।
আর এরপরই বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এরদোয়ান। ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠায় একের পর এক দেশ তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। সোমবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং সেই ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এই প্রেসিডেন্ট ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২০ লাখেরও বেশি।
৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান ২০০৩ সালে প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুরস্কের ক্ষমতায় এসেছিলেন। সর্বশেষ এই নির্বাচনকে সামনে রেখে তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি আরও উন্নয়নের রূপরেখো সামনে এনেছিল।
এদিকে নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার না করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু বলেছেন: ‘দেশের জন্য যেসব সমস্যা অপেক্ষা করছে সেটি নিয়েই এখন আসলে আমি দুঃখ পাচ্ছি।’
এদিকে এরদোয়ানের জয়ের পর বিশ্বের বহু দেশ থেকে অভিনন্দন বার্তা দেওয়া হয়েছে।