:: প্রতিনিধি সিংগাইর ::
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গত এক সপ্তাহের তীব্র তাপদাহ ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের ব্যস্ততার মাঝে তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। গত শনিবার থেকে টানা ৪ দিন সিংগাইরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। শুক্রবার ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এই তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বারবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে এলাকাবাসী। প্রায় সব এলাকায়ই ৮-১০ বার লোডশেডিং হচ্ছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা লোডশেডিংয়ে মাসুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্র অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা শিশু কাননের অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এই অবস্থায় তীব্র গরমে ছেলেমেয়ে নিয়ে বেকায়দায় আছি।’
উপজেলার হাতনী গ্রামের এক মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে তীব্র গরমের মধ্যে দিনেও লোডশেডিং হচ্ছে, রাতেও বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
পৌর সভার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম। গরমের মধ্যে ঘন ঘন এবং টানা লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। অনেক সময় সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল থাকে না। ইফতারের পর যখন কেনাকাটার চাপ পড়ার কথা তখনই বিদ্যুৎ থাকে না। সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ীর লাইনম্যান মো. সরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সবচয়ে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে এলাকায়। পাশের উপজেলা দোহার-নবাবগঞ্জ লোড শেডিং অনেক কম।
এদিকে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দাবি করেছেন, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ কেভি স ালন লাইনের বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সিংগাইর উপজেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ৩৭ মেগাওয়াট । সেখানে সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে সরবরাহ হচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট। যে কারণে লোডশেডিং দেওয়া লাগছে। এ এলাকায় দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থাকলেও এখানকার বাসিন্দারা তার সুফল পাচ্ছেন না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যোগ হচ্ছে বলেও তিনি জানান।