‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে’—বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা (বিএনপি) মেনে নেয়নি; ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বঙ্গবন্ধু আকাশী ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ১৫তম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির নেতারা আন্দোলন আন্দোলন খেলা করবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে; সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে; তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে; সেটি অবাস্তব ও সংবিধান বিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।
আবহমান বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতন থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘোড়দৌড় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো মধুপুর উপজেলায় উৎসব আনন্দের আবহ তৈরি হয়। তাই, ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ, হাডুডুসহ সকল লোকজ সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ছোটমনির এমপি, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বক্তব্য রাখেন।