ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পটি এ মাসেই (সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তাড়াতাড়ি প্রকল্পটি অনুমোদন হলে আমরা দ্রুত ইভিএম ক্রয় করতে পারব বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইভিএম সংরক্ষণে সাড়ে ২১ হাজার বর্গফুটের ওয়্যারহাউজ লাগবে। সেভাবে ওয়্যারহাউজ চিন্তা করছি। তবে সিদ্ধান্ত পৌঁছায়নি। ওয়্যারহাউজ পেন্ডিং, ট্রান্সপোর্টেশন ও নির্ধারণ হয়নি।
আগের প্রকল্পে দেড় লাখ ইভিএমের জন্য তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এবার আমাদের দুই লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প নেওয়া হবে। এছাড়া ওয়্যারহাউজ, জনবল ও অন্যান্য বিষয় আছে। আগের প্রকল্পে একটি ইভিএম কেনা হয়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার টাকায়। এখন ডলারের একটা বিষয় আছে। সেই হিসেব করে প্রকল্পের আকার দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, বিএমটিএফের (বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি) ক্যাপাসিটি আছে। এ মাসের মধ্যেই আমরা ডিপিপি পাঠিয়ে দেব। যত তাড়াতাড়ি অনুমোদন হবে তত তাড়াতাড়ি ইভিএম ক্রয় করা হবে। আর যত দেরি হবে, তত টাফ হবে।
১০টা অঞ্চলে ১০টা ওয়্যারহাউজ, ভূমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো ব্যয় সবগুলো মিলে প্রাইসটা আসবে। এছাড়া ট্রেনিংয়ের বিষয় আছে। মূল কথা হলো একটা ভাল প্রকল্প যেন প্রস্তাব করা যায়, একটা টেকসই ব্যবস্থার জন্য যা করার দরকার আমরা সেভাবে প্রস্তাব করছি। নতুন প্রকল্পের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।