বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৮২ বছর বয়সী বৃদ্ধ আবদুল কাদির বখশ। জীবনের পড়ন্ত বেলায়ও পিছু ছাড়েনি অভাব-অনটন। তাই পেটের তাগিদে ছাগল চরানোর কাজ করেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের এই বাসিন্দা। শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও পেশায় রাখাল এই বৃদ্ধের অন্তর ছিল আল্লাহর ভালোবাসায় পূর্ণ।
চরম অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের মধ্যেও মনে স্বপ্ন ছিল পবিত্র ওমরাহ পালনের। আর তাই দীর্ঘ ১৫ বছর ছাগল চরিয়ে এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ওমরাহ পালনের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি।
ওমরাহ পালনের পর তার হৃদয় এখন সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ৮২ বছর বয়সী আবদুল কাদির। গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত রমজান মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে এক বৃদ্ধকে মদীনার পবিত্র মসজিদে নববীতে লাঠি হাতে একাকী ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সাদা জোব্বা পরা এই বৃদ্ধের দৃষ্টিশক্তিও বেশ ক্ষীণ।
তার হাঁটার ধরন থেকে মনে হচ্ছিল তিনি কাউকে হারিয়েছেন বা কিছু খুঁজে ফিরছেন। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক মিলিয়ন ভিউ হয়। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই বৃদ্ধের সাদাসিধে চলাফেরা ও সরল ব্যবহার সবার নজর কাড়ে। এমনকি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উপদেষ্টা তুর্কি আল-শেখ এই বৃদ্ধের খোঁজ চেয়ে টুইটও করেন।
কিন্তু ৮২ বছর বয়সী আব্দুল কাদির বখশের কোনও ফোনই নেই। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে গত শনিবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের হাবের গোথ হাজি রহিম গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন তিনি। পরদিন আরব নিউজের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির কথা প্রথম জানতে পারেন তিনি।