শীত বিদায় নিয়েছে, তাই বাজারে সরবরাহ কমেছে সিম, মুলা, কপি, টমেটোসহ শীতকালীন সবজির। ফলে বাড়তে শুরু করেছে দাম। কেজিপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা আগেভাগেই সবজি বিক্রি করে ফেলেছেন। এতে শেষের দিকে বাজারেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজারদরে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি থাকলেও পরিস্থিতির স্বীকার বলছে বিক্রেতারা।
বাজার করতে আসা ব্যবসায়ী মো. আলমগীর বলেন, মাছ-মাংসের চেয়ে সবজিটা মানুষের সবসময়ই প্রয়োজন হয়, বাজারে দেখছি এটার দামই বেশি। টমেটো ছিল গত সপ্তাহেও ২০-২৫ টাকা, আজকে দেখছি ৩০ টাকা। ছোট একটা ফুল কপি ৪০ টাকা। আমরা না হয় কোনোরকমে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবো, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা তো ভয়াবহ হয়ে যাবে। শীত চলে গেছে তাই সবজির দাম বেড়েছে, কিন্তু গরমের সবজির দাম তো কমেনি।
তিনি বলেন, সামনে রোজার মাস, হয়তো দেখবো জিনিসপত্রের দাম আরেক দফায় বেড়ে গেছে। বাজারে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের উচিত কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা।
এদিকে সবজি বিক্রেতা মজনু মিয়া বলেন, টমেটো ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এছাড়াও সিম ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪৯ টাকা, মুলা বিক্রি করছি ৪০-৪৫ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি করছি ৫০ টাকা পিস।
তিনি বলেন, সবজির বাজার এখন একটু বাড়তির দিকে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাজারে সবজিই কম আসে, আড়তদাররা বেশি দাম ছাড়া সজবি ছাড়ে না। শীত চলে যাওয়ায় মৌসুমি সবজিগুলোও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, যা আসছে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম অনেকটাই বেড়েছে। একদিকে শীতকালীন সবজিগুলো বাজার থেকে চলে যাচ্ছে তাই এগুলোর দাম বেশি, আবার ঝিঙে-চিচিঙ্গা-পটলসহ গরমকালীন সবজিগুলো নতুন আসছে তাই এগুলোর দামও বেশি। ঝিঙে প্রতি পাল্লায় ১৫০ টাকা বেড়েছে, পেঁপে পাল্লায় ৫০ টাকা বেশি। এদিকে টমেটো-কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি।
বাড়তি দামে ক্রেতাদের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক প্রভাব পড়ছে। যে ব্যক্তি আগে সবজি এক কেজি নিতো, এখন নিচ্ছে হাফ কেজি। দাম বাড়ায় অনেকে সীমিত খাচ্ছে।