রাজধানীর ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী এবং কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য মজুত ও বিক্রি করার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া দুই জন অভিযুক্তকে কারাদণ্ডও দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গবার (৯ আগস্ট) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনায়েত কবির সোয়েব বলেন, সোমবার (৮ আগস্ট) র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী এবং কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআইর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এসব এলাকায় অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করার অপরাধে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ডেমরার সজিব কেমিক্যাল কোম্পানিকে নগদ ৪ লাখ টাকা, নিই দিলখুশ বেকারিকে ২ লাখ টাক, হাইকো কনজিউমার প্রডাক্টসকে ৫০ হাজার টাকা, রাব্বি ওয়েল এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ টাকা, কদমতলীর জে কে ফুড প্রডাক্টসকে ৩ লাখ টাকা, নিউ সোলার পাওয়ার বুস্টার মশার কয়েলকে ২ লাখ টাকা, যাত্রাবাড়ীর হে বক্স অ্যান্ড কোম্পানিকে ৬ লাখ টাকা ও কেরানীগঞ্জের গ্রিন প্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকাসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কেরানীগঞ্জের কনিক্স ট্রান্সমিশন জেল ক্রবিনেটারের ২ জনকে জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করে আসছিল।