ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক মাসের সামান্য বেশি সময়ের মধ্যে ইরানের তৈরি ২২০টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সৈন্যদের কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানোর পর এই তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন প্রথম ভূপাতিত করার পর থেকে… ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্যান্যরা এই ধরনের ২২৩টি ইউএভি ধ্বংস করেছে।
এদিকে, বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দার লিয়েন বলেছেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্টেশন এবং অন্যান্য অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার চালানো ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা পুরোপুরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড; যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, গতকাল আমরা আবারও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়াতে হামলা চালাতে দেখেছি। এটি ইতোমধ্যে অত্যন্ত নিষ্ঠুর একটি যুদ্ধের আরেক অধ্যায়কে চিহ্নিত করেছে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা খুবই পরিষ্কার। রাশিয়ার এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল।
এর আগে, সোমবার ইউক্রেনে কয়েক ডজন কামিকাজে ড্রোন নিক্ষেপ করে রাশিয়া। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো এবং কিয়েভে বেসামরিক স্থাপনায় রাশিয়ার এই হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের ড্রোন ব্যবহার করায় তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার কিয়েভ জানিয়েছে।
যদিও মস্কোকে ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। আর ক্রেমলিন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন বলেছে, রাশিয়াকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ড্রোন দেওয়া নিয়ে ইরান মিথ্যাচার করছে।