২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। এরমধ্যে মাত্র ৪৫০০ জন তাদের জায়গা বুঝে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
সিট স্বল্পতার এই দৃশ্য দেখে ভয় পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে ভয়কে জয় করেই এগিয়ে যেতে হবে। কৌশলী হতে হবে পড়াশোনায়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা আসলে একটা ছাঁকন পদ্ধতি। এখানে যোগ্যরাই টিকে থাকছে।
৬০ মিনিটে ১০০টা প্রশ্ন পড়ে ৭০ শতাংশের বেশি সঠিক উত্তর দেওয়া খুব একটা সহজ প্রক্রিয়া নয়। পুরো ৬০ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখাও সহজ নয়। তবে দৌড়ে জিততে হলে আপনাকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
১ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকেই কমবেশি মেধাবী এবং পড়াশোনা করে আসবে। কিন্তু ভাগ্য নির্ধারণে সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখবে মনোযোগ ধরে রাখার টোটকা। এই গুণটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে, এসময় যত বেশি সম্ভব প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। অর্থাৎ মডেল টেস্ট বেশি বেশি দিতে হবে। ঘড়ি ধরে সময় হিসাব করে প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত নিয়মিত এই কাজটি করলে দ্রুত প্রশ্ন সমাধানে পারদর্শী হওয়া সম্ভব।
মোটা দাগে একটি কথা বলতে চাই, শেষ সময়ে এসে যারা প্রশ্ন ব্যাংক বেশি বেশি সমাধান করবে তাদের জন্য পরীক্ষার হলে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে, তারা অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকবে।
এছাড়াও বেশি বেশি মডেল টেস্ট, সলিউশন বুকে চোখ বুলানো এবং ট্রিকি প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানার চেষ্টা করতে পারেন। অনেক সময় প্রশ্নের টুইস্ট হিসেবে কিছু কনফিউজিং প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে পরীক্ষার হলে বেশ বেগ পেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। ফলে এসময়টাকে কাজে লাগাতে হবে।
যারা এবারের ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তাদেরকে আমি বলব, এখন নতুন করে কোনো টপিক না পড়তে। বরং আমি বলব যে, সে যেন নিজের পুরাতন অস্ত্রেই আবার নতুন করে শাণ দেয়।
একই সঙ্গে আরও একটি কাজ করা যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণজ্ঞান জানতে পারেন। শেষ ২-৩ মাসে ঘটে যাওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা রাখার চেষ্টা করা যেতেই পারে।
আশাকরি নিজের ভাগ্য বদল করে দেবে এই পরীক্ষা। সবার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।