মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ^রী, কালীগঙ্গা ও ইছামতী নদীর ভাঙ্গনে প্রায় ২শতাধিক বসতবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে ২শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর গরু হাট বিলিন হয়ে গেছে। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিওর- গোলাপনগর সড়ক এবং কুস্তা ইছামতী নদীর উপরে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রীজ, ৩টি কবরস্থান ২টি স্কুল, বহু বাড়ি ঘড়, ফসলি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে।
ইতোমধ্যে ঘিওর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রছুলপুর এলাকার ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পুরাতন ধলেশ^রী এবং কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারসহ পার্শ্ববর্তী কুঠিবাড়ী, রামকান্তপুর ও কুস্তা গ্রামের ৪০টি বসত বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। ধলেশ^রী পারের অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
এদিকে ইছামতী নদীর ভাঙ্গনে কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চ বিদ্যালয়, কুস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর কবরস্থান,কুস্তা কবরস্থান, ঘিওর শশ্মান ঘাট, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি খাদ্য গুদামসহ বেশকিছু স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। ফলে এসব এলাকার লোকজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
ইছামতী নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রসুলপুরে বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। আমার বাড়ি ভাঙ্গন এলাকায়, রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ আঁতকে উঠি। এবারের বর্ষায় রছুলপুর এলাকার কয়েকটি পরিবারের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে চলে যায়।এ ছাড়া সারা দেশে নাম করা ২শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর গরু হাটটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গন এলাকার বাসিন্দা রফিক জানান, গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সরকারি ভাবে কোন প্রকার সাহায্য তারা পাননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।দ্রুত কাজ শুরু হবে। ভাঙ্গন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে র্উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানান।