চীনের রকেট লং মার্চ ৫বি এর ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ভেঙে পড়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) মধ্যরাতে এটি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে বিধ্বস্ত হয়। মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে রোববার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
চীনের মহাকাশ সংস্থা অবশ্য জানিয়েছে লং মার্চ ৫বি রকেটের বেশিরভাগ অবশিষ্টাংশ বায়ুমণ্ডলে পুড়ে গেছে। তবে রকেটটির বাকি অংশ প্রশান্ত মহাসাগরের সুলু সাগরে পতিত হয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে, মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, জনবহুল এলাকায় রকেট অবতরণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
সংবাদমাধ্যম বলছে, শনিবার মধ্যরাত নাগাদ চীনের লং মার্চ ৫বি রকেট পৃথিবীতে ভেঙে পড়ার এই ঘটনা ঘটে। এসময় রাতের আকাশে আতসবাজির মতো আলোর ফুলকি দেখা যায়। সেটি যত ভূখণ্ডের কাছে আসতে থাকে, ততই এটিকে উল্কাপাত বলে মনে হয়।
রাতেই এশিয়ার বেশ কিছু দেশের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল, নীল, হলুদ, কমলা রঙের আলোর ছবি প্রকাশ করে উল্কাপাতের কথা জানান। আসলে সেটি ছিল বিশাল মাপের চীনা রকেট। গত রোববার পাঠানো ওই রকেটটি মহাকাশে প্রদক্ষিণ শেষে পৃথিবীর দিকে ফিরছিল।
কিন্তু, বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরই তার ওজনের কারণে সেটি ভেঙে পড়ে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে। যতদূর জানা গেছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের কাছাকাছি পড়েছে।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, গত ২৪ জুলাই রকেটটি মহাকাশে পাঠায় চীন। এর কাজ ছিল মহাকাশে তাদের গবেষণা সংস্থায় নতুন একটি যন্ত্র স্থাপন করে ফিরে আসা। রকেটটি সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করে পৃথিবীর বুকে ফিরছিল। কিন্তু, সেই সময়ই বিপত্তি ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এনিয়ে তৃতীয়বার চীন রকেট ধ্বংসাবশেষের বিষয়ে বিধিভঙ্গ করল। নাসা এই কাজের সমালোচনা করে বলেছে, মহাকাশে যারাই রকেট পাঠাক না কেন, পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার যাবতীয় তথ্য সকলকে জানানোটাই রীতি।
তবে রকেটটি কোথায় এসে নামবে, তার ওজন কত, তা কতটা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর সেসব তথ্য জানানো হয়নি।