মসজিদের কাঠাল নিলাম নিয়ে বিরোধের জেরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মখলেছুর রহমান (৬০) নামের আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
মৃত মখলেছুর পুলিশের ভয়ে আহত অবস্থায় আত্মগোপনে থাকাকালীন রাতে মারা যান বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট পরিবারের। ৪ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন নিহতরা হলেন, আব্দুল লতিফের ছেলে নরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) এবং আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫)।
এদিকে সংঘর্ষের পর পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি ঠাণ্ডা আছে। গ্রামে মানুষজনের উপস্থিতি কম দেখলাম। পুলিশ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সরাইমরল ও মালদার গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আজ সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলে সরাইমরল গ্রুপের নুরুল হক ও বাবুল মিয়া নিহত হন। উভয় গ্রুপের গুরুতর জখমসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। অপরদিকে মালাদার গ্রপের শাহজাহান মিয়া নামে আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, জায়গা নিয়ে এই দুই গ্রুপের পূর্ব বিরোধ ছিল।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, পরবর্তীতে আরও একজন নিহতের ঘটনায় এই সংঘর্ষের কেউ সংশ্লিষ্ট কি না তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।