ভিডিও ভাইরাল, সেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা বরখাস্ত

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও এক সহকারী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ.স.ম শফি মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ.স.ম শফি মাহমুদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্র থেকে জানা যায়- প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকার অসামাজিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কমিটির অধিকাংশ সদস্যের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এছাড়াও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আ.স.ম শফি মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে ডাকা হলেও তারা আসেননি। পরে পাঁচজন সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুজনকেই শোকজ করা হয়েছে। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বদলগাছী উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেখেছি তাই স্কুল কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।

উল্লেখ্য, বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠে। এমন কিছু ভিডিও গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদের একের পর এক এমন নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পর বুধবার বিকেলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ড ও বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ