আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে পণ্যবাহী জাহাজে ইরান থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। শনিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা লোহিত সাগরের বাইরেও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে তারা।
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, জাপানের মালিকানাধীন ‘কেম প্লুটো’ নামে মোটরচালিত জাহাজটিতে লাইবেরিয়ার পতাকা ছিল। নেদারল্যান্ডস পরিচালিত রাসায়নিক ট্যাংকারটিতে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৬টায়) ইরান থেকে ছোড়া ড্রোনটি আঘাত করে। ভারত উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে ড্রোনটি ওই ট্যাংকারে আঘাত করে।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের উপকূলে হামলার শিকার রাসায়নিক ট্যাংকারটিতে ‘ইরান থেকে নিক্ষেপ করা একমুখী হামলাকারী ড্রোন’ আঘাত হানে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘জাহাজটির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে এবং এটি ভারতের একটি গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
এদিকে আক্রমণ চালানোর বিষয়ে এখনও কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোতে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে এই হামলাটিও সম্পর্কিত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এএফপি বলছে, গত অক্টোবরে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পেন্টাগন খোলাখুলিভাবে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি জাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করল।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ দাবি করে, গুজরাট উপকূলে শনিবার জাহাজে এই হামলাটি সরাসরি ইরান থেকে করা হয়েছে। যদিও তথ্যটি নিশ্চিত নয়।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এসব বর্বরতার জবাব দিতে লোহিত সাগরে জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। তারা মূলত ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
হুথিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল বর্বরতা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে তারাও হামলা বন্ধ করে দেবে।