নিজেদের স্থল সেনাদের সব ইউনিটকে নিয়ে ইস্ফাহান প্রদেশে বিশাল মহড়া শুরু করেছে ইরান। দেশের মধ্যাঞ্চলে দুইদিনব্যাপী তাদের এ মহড়া চলবে।
ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) মহড়ার প্রধান ধাপে সেনাবাহিনীর মোবাইল অ্যাসাল্ট ব্রিগেড, সাঁজোয়া বিভাগ এবং হেলিকপ্টারের স্কোয়াড্রন— আপডেট ভার্সনের শাফাক, আলমাস এবং দেহলাভিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ৮ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে।
ইরানের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ইউসুফ ঘোরবানি মহড়ার ফাঁকে জানান, মিলিটারি হেলিকপ্টার এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
যেগুলো জ্যামিং সিস্টেম, নাইট ভিশন ক্যাপাবিলিটিস, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং নির্ভুল আঘাত হানার অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এরমাধ্যমে পশ্চিম এশিয়ায় আর্মির আকাশ শক্তিকে ‘অবিসংবাদিত হেলিকপ্টার শক্তিতে’ পরিণত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইরান এমন সময় নিজেদের সেনাদের নিয়ে বিশাল মহড়ার আয়োজন করল যখন মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরান। দেশটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা ও বেসামারিকদের হত্যা বন্ধ না করে তাহলে এই যুদ্ধ অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। এ কারণে তারা ইরান ও তাদের মিত্রদের যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।