বিয়ের আসরে কনে-শাশুড়ি-শ্যালিকাকে গুলি করে হত্যা করলেন বর

থাইল্যান্ডে নিজের বিয়ের আসরে গুলি করে কনেসহ আরও তিনজনকে হত্যা করেছেন এক বর। তিনি দেশটির প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও সাবেক সেনা সদস্য। পরে গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন তিনি। শনিবার থাইল্যান্ডের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গত শনিবার উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে চতুরং সুকসুক (২৯) ও কাঞ্চনা পাচুনথুয়েক (৪৪) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের আসর থেকে আকস্মিকভাবে চলে যান বর চতুরং। পরে সেখানে বন্দুক হাতে ফিরে তার স্ত্রী, ৬২ বছর বয়সী শাশুড়ি ও ৩৮ বছর বয়সী শ্যালিকাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন।

এ সময় বিয়েতে আসা দুই অতিথিও গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা একজনের প্রাণহানি ঘটে।

বিবিসিকে পুলিশ বলেছে, বিয়ের সময় চতুরং নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তিনি গত বছর বৈধভাবে বন্দুক ও গোলাবারুদ কিনেছিলেন।

বিয়ের আসরে অংশ নেওয়া অতিথিরা পুলিশকে বলেছেন, বিয়ের পার্টির সময় বর-কনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কাঞ্চনা ও তার মধ্যে বয়সের ব্যবধান নিয়ে চতুরং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছিলেন বলে থাই গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

তবে পুলিশ বলেছে, এসবই অনুমান নির্ভর কথা। তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন এবং ‘‘শিগগিরই’’ মামলাটির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন।

থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের আগে চতুরং ও কাঞ্চনা তিন বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান প্যারা অলিম্পিক গেমসে সাঁতারে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন চতুরং। তিনি আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অ্যাবিলিটিস্পোর্ট গেমসের ক্রীড়াবিদদের তালিকায় ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের সীমান্তে টহলরত আধাসামরিক বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি কোরের সদস্য ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ডান পা হারিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডে নির্বিচার গোলাগুলির ঘটনা বিরল হলেও বন্দুকের মালিকানা একটি সাধারণ বিষয়।

গত মাসে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল শপিং মলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। গত অক্টোবরে দেশটির পুলিশের সাবেক এক সদস্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি নার্সারিতে বন্দুক ও ছুরি হামলা চালিয়ে ৩৭ শিশুকে হত্যা করেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ