বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

বেশি মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট চত্বরের গ্রাউন্ড ফ্লোরে স্থানীয় সময় বুধবার ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিজে শ্রেইনেমাচারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।

মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে। ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ