আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, কাদের দ্বারা দেশের জনগণ উপকৃত হয়, কোন সরকারের অধীনে দেশের উন্নয়ন হয়, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনগণের প্রতি তাদের (বিএনপি) আস্থা নেই। জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। তাদের আস্থা বিদেশি প্রভুদের উপর।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে পল্টন থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন করবে। আপনারা যদি মনে করেন দেশের মানুষ সরকারকে পছন্দ না করে আপনাদের পছন্দ করে, তাহলে ভোটে আসেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে মন্দাভাব চলছে, অর্থনীতি দুরবস্থার মধ্যে আছে। সেই ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। এ মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এই চরম দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে পেরেছেন। এই সময়ে বিশেষ করে রমজান মাসে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সেই জন্য ইফতার অনুষ্ঠান না করে মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি প্রত্যেকটি গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
হানিফ বলেন, আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলারের নিচে। আজ মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। আজকে অনেকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে কটাক্ষ করে বলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট হয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে না মিশে ঢালাওভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার জন্য তারা এসব বলেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বলতে পারেন না তাই এখন দ্রব্যমূল্যের কথা বলেন।
বিএনপির শাসনামলের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন মানুষের দৈনিক মজুরি ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায় পৌঁছেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। বিএনপির সময়ে মানুষ কষ্টে ছিল। এখন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি পেলেও মানুষ ওই রকম কষ্টে নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।