আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশি সুতার টানে পুতুল নাচের খেলা চলছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি প্রভুদের সুতার টানে নাচে বিএনপি, সঙ্গে দালালেরাও নাচে। এত টাকা বিএনপি কোথায় পেল? তারা নির্বাচনকে বানাচাল ও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে বিদেশি প্রভুরা সুতার টান ছাড়ে। মির্জা ফখরুল একজন পুতুল। তিনি তারেক জিয়ার ধমকেই টেকে না। সে আবার আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায়। হঠাৎ শুনি হাসপাতালে ভর্তি। রোদের জন্য নয়, তারেকের হুমকি খেয়ে হাসপাতালে যায়। বিএনপি নামক দলটা আন্দোলন করছে অনেক। আন্দোলনের গতি আছে? তারা গরুর হাটে জখম হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা সতর্ক ও সজাগ আছি। তারা কী চায় আমরা জানি। তারা এখন চোরাগুপ্ত পথে সরকার হটাতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এত কষ্টের মাঝেও জানে শেখ হাসিনা একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী। তাকে হটানোর প্রয়োজন জনগণের নেই। আছে বিএনপি আর তাদের বিদেশি প্রভুদের।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচন মেনে নেননি। ভোট চুরির অভিযোগ এনেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে মানেন না। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে দুইজন কৃষ্ণাঙ্গ আইন প্রণেতার সদস্যপদ বতিল করা হয়েছে। অথচ একই অপরাধে একজন শ্বেতাঙ্গকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাদা-কালোয় পার্থক্য আছে। এ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র। তাদের নিজের দেশে গণতন্ত্রের এমন অবস্থা। সে আবার আমাদের গণতন্ত্রের কী ছবক দেবে? মির্জা ফখরুলের নালিশ দিতে দিতে এমন অবস্থা হয়েছে, এখন জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যাবে। এসব হুমকি-ধামকি দিয়ে কোনো লাভ হবে নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালের পক্ষপাতমূলক তত্বাবধায়ক সরকার আর এদেশে ফিরে আসবে না। বিএনপি যতই কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি করুক তত্ত্বাবধায়ক আর ফিরবে না। সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নোতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল মিটে ফেলাসহ অভিযুক্ত নেতাদের সংশোধন হওয়ার কথা বলেন তিনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।