বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ নামক একটি সামাজিক সংগঠন।
রোববার (২ জুলাই) মরিচের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দুই বছর যাবৎ আমরা লক্ষ্য করছি বাজারে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। এক শ্রেণির অতি মুনাফাখোর ও সিন্ডিকেটকারী অসাধু ব্যক্তিদের হাতে বাজার চলে গেছে। আজকে যদি আদার দাম বাড়ে তো কালকে পেঁয়াজের দাম বাড়ে, আবার পরের দিন মসলার দাম বাড়ে। চাল, ডাল ও দুধ এসব নিত্যপণ্যের দাম প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিযোগিতা কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের ট্যারিফ কমিশনের কোনো ভূমিকা আছে বলে আমরা দেখি না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মাঝে মাঝে মিডিয়াট্রায়াল নিয়ন্ত্রণ করলেও সার্বিকভাবে বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে কৃষি অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো কার্যকর ভূমিকা এ পর্যন্ত আমরা লক্ষ্য করিনি। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার জিম্মি করে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে নিয়ে গেছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদের দুই-চার দিন আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। অথচ মরিচ ঈদের পরদিন ৫০০ থেকে এলাকাভেদে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে কোনো ভয়াবহ বন্যা নেই। বরং বৃষ্টিতে মরিচের গাছ আরও সজীব হয়েছে ও ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চমূল্যের সুবিধার বিষয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। পাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী এক শ্রেণির অতি মুনাফাকারীরা। এই অবস্থায় আমরা বাজার দ্রুততার সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।