ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। এরই মধ্যে বেশিরভাগ ঘরমুখো মানুষ রাজধানী ছেড়েছে এবং এখনও ছাড়ছে। যার প্রভাব পড়েছে সেমাই, চিনি এবং পোলাও চালের বাজারে। বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও বিক্রি একেবারেই কম।
শুক্রবার রাজধানীর রায়ের বাজার এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পাইকারি মুদি দোকানের সামনে ডালায় ডালায় সাজানো আছে বিভিন্ন রকমের সেমাই। এর বাইরে আছে প্যাকেটজাত সেমাই। খোলা পোলাও চালের পাশাপাশি আছে প্যাকেটজাত চালও। এত এত পণ্য থাকলেও দোকানিরা বলছেন, ঢাকায় তো মানুষই কমে গেছে। তাই সে অর্থে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।
দুই বাজারের দাম অনুযায়ী দেখা গেছে, বাজারে খোলা লাচ্ছা সেমাই ২০০ টাকা কেজি; প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ৪৫ টাকা, স্পেশাল প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ১৩০ টাকা, খোলা লম্বা সাধারণ সেমাই ৭০ টাকা কেজি, প্যাকেটজাত লম্বা সাধারণ সেমাই ৪০ টাকা, পোলাও চাল খোলা ১১৫ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৩০-১৪০ টাকা কেজি, খোলা চিনি ৮৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রায়ের বাজারের মুদি দোকানী তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দু’দিন হলো বাজারে সেমাই এনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কাস্টমার নেই। দিনে ৫/৬ কেজি সেমাই বিক্রি হচ্ছে। আজকের সন্ধ্যা বা আগামীকাল বোঝা যাবে সেমাইয়ের বাজার কেমন।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী জলিল হোসনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার দোকানের বেশিরভাগ ক্রেতাই হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ী। তাদের এবার কেউ ১০ কেজি, কেউ ১৫ কেজি করে সেমাই নিয়েছে। আগের মতো বিক্রি নেই। আগে ঈদের সময় একেকজন দোকানি ২৫-৩০ কেজি করে সেমাই নিয়ে যেত।