বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি লাভজনক স্থান। জাপানের বেসরকারি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি রোববার (১১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব কেএম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনেও এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জাপানি রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প যেমন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং মেট্রোরেল বাস্তবায়নে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন
এসময় রাষ্ট্রদূত নাওকি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সর্বদা পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য বরাদ্দ করা পর্যটন স্থান গড়ে তুলতে জাপানের সহযোগিতাও কামনা করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত একে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য ভাষানচরের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার ভূমিকার জন্য জাপানি রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।