বিয়ের দাবিতে বরগুনায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া জামালপুরের সেই তরুণীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর পর কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাহিদ হোসেন তাকে কারাগারে সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়ি বেতাগীর চান্দখালী এলাকার কাঠপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি।
তিনি আরও বলেন, ওই তরুণীর স্বামী ও সন্তান থাকার পরও স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই আরেকজনকে বিয়ের দাবি নিয়ে একটি বাড়িতে অবস্থান করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করেন। বিষয়টি নিয়ে ১০ মে আদালতে আবেদন করেছিলাম। পুলিশ আজ গ্রেপ্তার করলে আদালত তাকে কারাগারের সেইফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে ওই তরুণীকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল বরগুনার চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকার মাহমুদ হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন জামালপুরের ওই তরুণী। তিনি অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় তালা লাগিয়ে গা-ঢাকা দেন।
এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ির তালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন ওই তরুণী। এর ১০ দিন পর প্রেমিক মাহমুদের বাবা মোশাররফ হোসেন তরুণীর আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ার কাগজ দেখানোর শর্তে হাসানের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। কিন্তু ওই তরুণী তালাকের কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন।
এরপর গত ১০ মে মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন ওই তরুনীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর আজ সকালে ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।