দুবাই ফেরত রাকিবের সঙ্গে ফাতিমা আক্তারের বিয়ের পাকা কথা ছিল আগেই। পূর্ব নির্ধারিতভাবে বরযাত্রার তারিখ ছিল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। বর ও কনের পরিবার পরস্পরের প্রতিবেশী। বিগত সাতদিন ধরে বর ও কনের বাড়িতে আলোকসজ্জাও হয় বর্ণিল।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে রণে ভঙ্গ দিলো আড়ম্বর আয়োজনের। জোয়ারের প্লাবন কিছুতেই নামছিল না বাড়ির আঙিনা থেকে। শেষে নিকটস্থ একটি মাদরাসায় অতিথি আপ্যায়ন সেরে সম্পন্ন হলো বিয়ের আয়োজন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বকশিরচরের।
জানা গেছে, বকশিরচর গ্রামের কালাম হাওলাদারের বিদেশ ফেরত ছেলে রাকিব হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়।
আনোয়ার হোসেন জানান, উভয় পরিবারের ৩০০ অতিথি ও স্বজন দাওয়াত দেওয়া ছিল। ভেবেছিলাম বৃষ্টি কমবে। সেইসঙ্গে নেমে যাবে পানি। আজ (বুধবার) বৃষ্টি কমলেও উঠানে পানি কমেনি। এজন্য কিছুটা কষ্ট হলেও পাশেই চাঁদপাশা মহিলা দাখিল মাদরাসায় অতিথি আপ্যায়ন করেছি। চেষ্টা থাকলেও অন্য গাড়ি রাস্তায় ঢুকাতে না পেরে ভ্যানে করে মেয়ে-জামাতাকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।
কালাম হাওলাদার বলেন, আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা ছিল সন্তানদের বিয়ের আয়োজন নিয়ে। কিন্তু পানি এমনভাবে জমে ছিল তা সম্ভব ছিল না। শেষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুতেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি জানান, রাকিব আমার বড় ছেলে এবং পুত্রবধূ ফাতিমা ওই পরিবারের সবার ছোট মেয়ে।
বর রাকিব হাওলাদারের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, পূর্ব থেকেই দুই পরিবার প্রতিবেশী ছিল না। কনের মূল বাড়ি ছিল উপজেলার অন্য এলাকায়। তবে কয়েক বছর পূর্বে তারা কালাম হাওলাদার চাচার বাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি করে সেখানে বসবাস করেন।
চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন খান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি বা টানা বৃষ্টি হলেই চাঁদপাশা ইউনিয়নের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। বকশিরচর তারমধ্যে অন্যতম নিচু একটি গ্রাম। আজকে সেখানে একটি বিয়ের আয়োজন ছিল। কিন্তু পানিতে পুরো গ্রাম তলিয়ে থাকায় শেষে পাশের একটি মহিলা মাদরাসায় আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।