ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ফিলিস্তিনি ও দুইজন ইসরায়েলি নাগরিক। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের একটি সমাবেশকে লক্ষ্য করে জেনিনে ওই বিমান হামলা চালানো হয়। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চার ভাইও রয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, জেনিনে অভিযানের সময় তাদের ‘যানবাহনে… বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে আঘাত করা’ হলে একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ওয়াফা জানিয়েছে, পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি চেকপয়েন্টে গাড়িতে থাকা একটি ফিলিস্তিনি মেয়েকে হত্যা করেছে বলে ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে। জেরুজালেমের উত্তর-পশ্চিমে বেইট ইকসা চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে রুকায়া আহমেদ ওদেহ জাহালিন নামের চার বছর বয়সী ওই মেয়ে শিশু নিহত হয়।
এবিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, জেরুজালেম এবং রামাল্লার মধ্যে অবস্থিত চেকপয়েন্টে একজন ভ্যান চালক অফিসারদের ধাক্কা দিলে তারা গুলি চালায় তারা।সন্ত্রাসীদের গুলি করার ফলে, চেকপয়েন্টে অন্য গাড়িতে থাকা একটি মেয়ে আহত হয়েছে।
এর আগে, রামাল্লার উত্তরে আবওয়েইন গ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয় বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামাল্লার অন্যত্র একজন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর দাবি করেছে। হামলাকারীর খোঁজ করার কথাও জানিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রামাল্লার উত্তরে ইসরায়েলের ওই ব্যক্তিকে ‘ব্রিটিশ পুলিশ মোড় সংলগ্ন’ এলাকায় হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় উপত্যকায় ব্যাপক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর সেসময় থেকেই পশ্চিম তীরে সহিংসতা ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে।