সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চক্রটি নারী দিয়ে ইজিবাইক চালককে আকৃষ্ট করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করতেন।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান পিবিআই এর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত ২৫ মে ভোরে কাজের উদ্দেশ্যে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস বাজারে যায় ইজিবাইক চালক ইসলাম। ওইদিন রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরদিন সকালে বারুহাস সড়কের জোড়া পুকুরের মাঝখান থেকে ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি তাড়াশ থানা কর্তৃক তদন্তকালে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে তদন্তের আদেশ দেন।
পরে পিবিআই তদন্ত ভার নিয়েই বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তথ্য প্রযুক্তিসহ নানানভাবে তদন্তে এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পিবিআই। পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানতে পারে অভিযুক্তরা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তারা হলেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাগলপুর কয়রা গ্রামের মৃত খোকা সরকারের ছেলে ইছা সরকার, মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. ইব্রাহিম হোসেন টুটুল ও মৃত খোকা সরকারের ছেলে মো. ছুরত আলী সরকার।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাদের আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদের ৪ জনের একটি দল আছে। যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই করে থাকে। এদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে।
তিনি বলেন, এই চারজন বিকেল বা সন্ধ্যায় দিকে ইজিবাইক ভাড়া করতেন। ইজিবাইক চলতে শুরু করলেই এর মধ্যে থাকা নারী নানানভাবে ওই চালককে আকৃষ্ট করতেন। চালক আকৃষ্ট হয়ে গেলে এই নারী তাকে প্রলোভনে নির্জন জায়গায় নিয়ে যেতেন। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করতো সক্রিয় এই গ্রুপটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।