ঘন কুয়াশার মধ্যে যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী-এনায়েতপুর নৌরুটে যাত্রীসহ এক নৌকা আরেক নৌকার ওপর উঠে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় নৌকার ১১ যাত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টায় এনায়েতপুর স্পার বাঁধ এলাকা থেকে চৌহালী উপজেলা সদরের উদ্দেশে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে রওনা হয় সিকদারের নৌকা।
জানা যায়, ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরে আবার পূর্বের স্থানেই ফিরে আসে ইঞ্জিনচালিত এ শ্যালো নৌকাটি। পরে পুনরায় নৌকা ছাড়লে কিছুদূর যাওয়ার পর সন্তোষা নৌকাঘাট থেকে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ১১ যাত্রীবাহী নৌকাটি কুয়াশার মধ্যে নদীতে ঘুরতে থাকে। হঠাৎ করে সিকদারের নৌকা ওই যাত্রীবাহী নৌকার ওপর উঠে পড়ে।
এ সময় নৌকার মাঝি নদীতে পড়ে যান। অন্য যাত্রীরা সরে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে মাঝি সাঁতরে নৌকায় ওঠে। কিন্তু উভয় নৌকার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
নৌকার যাত্রী ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা আছড়ে পড়লেও সৌভাগ্যক্রমে সব যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে কুয়াশার সময় ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হয়নি। আরও সতর্ক অবস্থায় নৌকা চলাচল না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে চৌহালী থানা পুলিশের ওসি হারুন আর রশিদ ও এনায়েতপুর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, যমুনা নদীর এই গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটটির নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ও তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া থানা ও নৌপুলিশের নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে কুয়াশার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণকারী যাত্রী ও চালকদের আরও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেন।