তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এমনটি জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে নতুন নির্বাচন এবং তাইওয়ানের নতুন প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশঙ্কা করছে বাইডেন প্রশাসন। নির্বাচনে জয় লাভ করায় লাই চিং–তেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এর আগে তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দলটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী উইলিয়াম লাই চিং–তে। তিনি চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে তাইওয়ানের ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন এক বার্তায় জানায়, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে।
প্রসঙ্গত, স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজ অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে দ্বীপটিতে চলছে গণতান্ত্রিক ধারা। এর আগে তাইওয়ান সামরিক শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা জর্জরিত ছিল।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত এ অঞ্চলকে সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে তাদের ক্রমবৃদ্ধিমান খারাপ সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। গত বছরের নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়া সম্মেলনে বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিনয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছিলেন।