সমুদ্রের তলায় উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম একটি ডুবো অ্যাটাক ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জানিয়েছে, জাপানসহ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় যে যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে তার প্রতিবাদে এ পরীক্ষা করেছে তারা।
কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া নিজেদের এ ডুবো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার নাম দিয়েছে ‘হাইল-৫-২৩’। দেশটির পূর্ব উপকূলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ পরীক্ষাটি চালিয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে। তবে কবে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নৌবাহিনী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তাদের তিন দিনব্যাপী নৌমহড়া শেষ করেছ। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসন সেখানে উপস্থিত ছিল।
মন্ত্রণালয়টি অনামা এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, সামরিক মহড়া চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ‘উন্মত্ত’ হয়ে উঠেছে। এর পরিণতি ‘বিপর্যয়কর’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মুখে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে দেশ তিনটি এ মহড়া চালিয়েছে।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন যেসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর প্রচার করেছিল সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করেছিল। কিন্তু দেশটির গণমাধ্যম যে ডুবো ড্রোন পরীক্ষার খবর দিয়েছে তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
কোরীয় ভাষার শব্দ ‘হাইল’ অর্থ সুনামি। ২০২৩ সালের মার্চে প্রথম এ ড্রোন পদ্ধতিটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল।
কেসিএনএ জানিয়েছে, শত্রুর জলসীমায় লুকিয়ে আক্রমণ চালানোর জন্য ও পানির নিচে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বড় ধরনের তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ তৈরির মাধ্যমে শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, নৌবহর ধ্বংস করার লক্ষ্যে এ ডুবো ড্রোনটি তৈরি করা হয়েছে।
এর কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া কঠিন জ্বালানি চালিত মাঝারি পাল্লার নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।