বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) দেশে জমি সংক্রান্ত মামলা ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেবে বলে মনে করেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
রোববার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের অর্থায়নে সম্প্রতি পটুয়াখালীতে পাইলটিং শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এই জরিপে যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি দুর্নীতিও কমবে। ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও দেওয়ার কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। বিডিএস-এ প্রস্তুত করা মানচিত্রের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো স্মার্ট ম্যাপ, যেখান থেকে ম্যাপে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানার তথ্য পাওয়া যাবে। আমি বিশ্বাস করি বিডিএস বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত মামলা ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
ভূমিসচিব বলেন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স/জমির খাজনা) ব্যবস্থা ভূমি সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা (রশিদ) সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না জনগণের। অনলাইনে এলডি ট্যাক্স দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনেই দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে।
ভূমিসচিব স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ায় উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের আহ্বান জানান। এছাড়াও ই-নামজারি আবেদনের সময় সরকারের কাছে সংরক্ষিত দলিল/কাগজ-পত্র পুনরায় যেন আবেদনকারী থেকে চাওয়া না হয় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেন সচিব।
তিনি মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য রিপোর্টিং ড্যাশবোর্ড নিয়মিত পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পর্যালোচনা অনুযায়ী, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ঢাকা বিভাগ, কম সময়ে ই-নামজারি নিষ্পত্তিতে রংপুর বিভাগ এবং ডাকযোগে খতিয়ান ও ম্যাপ সরবরাহে খুলনা বিভাগ অন্যান্য বিভাগের চেয়ে এগিয়ে আছে।
ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন-সহ বাংলাদেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।