ডলারের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ। মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের কাছে দাবি তুলে ধরেন বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলারের দাম বৈষম্যমূলক। এই বৈষম্যমূলক ডলারের মূল্য নির্ধারণ ও ডলারের কেনাবেচার মূল্যের ব্যবধান ১ টাকার বেশি না করাসহ চার কারণে ডলারের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি করেছি। ডেপুটি গভর্নর আমাদের বিষয়টি পজেটিভভাবে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, গভর্নর বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে এলে আবার তার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।
গভর্নর কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি খাত থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এসেছে। যার ৮২ ভাগ এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও পোশাক শিল্পের এই অর্জন দেশের রপ্তানি খাতকে গতিশীল রেখেছে। দেশের শিল্পায়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্যতম প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প।
বিকেএমইএ নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিসেবে নিট সেক্টরের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতে, নতুন বাজার সম্প্রসারণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারের নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাকে টেকসই করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ২৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
উল্লেখ্য, পোশাক শিল্পের ব্যবহৃত বিভিন্ন কাঁচামাল ও ডাইংয়ে ব্যবহৃত রং কেমিক্যালের জন্য আমরা মূলত আমদানি নির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম, পরিবহন খরচ ও কাঁচামালসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সকল পণ্যর দাম বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্য রপ্তানি করে কাঙ্ক্ষিত মুদ্রা অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের মূল্য আমদানি দেনা পরিশোধ এবং রপ্তানি আয় নগদায়নের ব্যবধানের কারণে উদ্যোক্তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমদানি ও রপ্তানি সমবস্থা আনয়নে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে চার দফা প্রস্তাব বিবেচনার অনুরোধ করছি।