পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্য দুর্নীতিতে টানা দ্বিতীয়বারের মত শীর্ষস্থান ‘অর্জন’ করেছে দেশটির পুলিশ বিভাগ। জার্মানিভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) পাকিস্তান শাখা টিআইপি শুক্রবার তাদের বাৎসরিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই তথ্য।
আগের বছর ২০২১ সালেও পাকিস্তানে দুর্নীতিতে শীর্ষে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টিআইপির ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর পাকিস্তানে দুর্নীতিতে প্রথম স্থানে ছিল পুলিশ, দ্বিতীয় স্থানে সরকারি দরপত্র ও ঠিকাদারি বিভাগ (টেন্ডারিং অ্যান্ড কন্ট্রাক্টিং) এবং এবং তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে বিচার ও শিক্ষাবিভাগ।
পাকিস্তানের সরকারি দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) ওপর থেকে দেশটির জনগণ আস্থা হারাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেছে টিআইবি। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের অন্তত ৪৫ শতাংশ মানুষ ন্যাবের ওপর আস্থাহীন বলে জানিয়েছেন টিআইপিকে।
পাকিস্তানে চলতি বছর যে ভয়াবহ বন্যা হয়ে গেল, সেই প্রসঙ্গও এসেছে প্রতিবেদনে। টিআইপির জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ পাকিস্তানি বিশ্বাস করেন, বাইরের বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকারের কাছে যে অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা এসেছে— সেসব বণ্টনে গুরুতর দুর্নীতি হয়েছে।
এছাড়া ৬০ শতাংশ পাকিস্তানি মনে করেন, যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) বন্যার্তদের সহায়তা দিয়েছে, তাদের আয় ব্যায়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করা প্রয়োজন।
সরকারি কোনো তথ্য লাভের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত তথ্য অধিকার আইন কোনো সহায়তা করতে পারবে না বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ পাকিস্তানি। এছাড়া ৫৪ শতাংশ পাকিস্তানি মনে করেন, দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে।