চীনে বছরের প্রথম টাইফুন আঘাত হেনেছে; যার প্রভাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে জনবহুল গুয়াংডং প্রদেশসহ ওই অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাত এবং দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।
চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার দিকে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে যাওয়া এই টাইফুনের নাম হিবিস্কাস ফুলের থাই নাম অনুযায়ী ‘চাবা’ রাখা হয়েছে। শনিবার সকালের দিকে গুয়াংডং প্রদেশের মাওমিং শহরে চাবার লেজ আঘাত হানে বলে চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা গাও শুয়ানঝু বলেছেন, তীব্রতা মাঝারি মাত্রার হলেও সময়ের সাথে সাথে চাবা শক্তি হারিয়ে ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে এই টাইফুনের প্রভাবে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি ক্রমবর্ধমান বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।
গাও বলেন, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচুর মৌসুমী জলীয় বাষ্প থেকে তীব্র বর্ষণ হতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ ৬০০ মিলিমিটার (২৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ রয়েছে।
চীনে টাইফুন সাধারণত স্থায়ী হয় গুয়াংডংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে। এই এলাকা এবং গুয়াংজির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পূর্বে ও দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে ভূমিধস, শহরে জলাবদ্ধতা এবং বন্যা হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা গাও।
তিনি বলেছেন, হাইনান প্রদেশে শনিবার জরুরি মোকাবিলার স্তর দুইয়ে উন্নীত করা হয়েছে। এই দ্বীপজুড়ে ট্রেন চলাচল স্থগিত এবং হাইকু ও সানইয়া শহরের মধ্যে চলাচলকারী ৪ শতাধিক বিমানের ফ্লাইটের উড্ডয়ন এবং অবতরণ বাতিল করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, চাবার প্রভাবে ঝড় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ম্যাকাও দ্বীপপুঞ্জে একজন আহত হয়েছেন।