টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ডুবোযান নিখোঁজ

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি ডুবোযান আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। সোমবারের এই ঘটনার পর ওই ডুবোযানের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বোস্টন কোস্টগার্ড বলেছে, ডুবোযানটির খোঁজে অভিযান চলছে। তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় ডুবোযানটিতে কতজন পর্যটক ছিলেন, তা পরিষ্কার নয়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য প্রায়ই অর্থের বিনিময়ে কিছু ছোট ছোট ডুবোযান পর্যটক ও বিশেষজ্ঞদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যায়।

ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। টাইটানিক দর্শনের এক অভিযান— সমুদ্র তলে অবতরণ এবং আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়।

বিশ্বের বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিকের তলদেশে ৩ হাজার ৮০০ মিটার (সাড়ে ১২ হাজার ফুট) নিচে আটকে আছে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অবস্থান রয়েছে।

১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।

১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ