তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে জলসীমায় অন্তত ১১টি ডংফেং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে চীন। মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরদিন বৃহস্পতিবার সামরিক মহড়া থেকে চীন এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে চীনের সামরিক বাহিনী প্রথমে তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপপুঞ্জের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বীপের কাছাকাছি জলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়াকে ‘অনুকরণ’ করেছে চীন। বেইজিংয়ের সাথে চলমান তীব্র উত্তেজনায় সংযমের আহ্বান জানিয়েছে তাইপে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে চীন। এছাড়া এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে গণতান্ত্রিক এই দ্বীপ ভূখণ্ডের প্রতি সমর্থন এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে যৌথভাবে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরদিন নজিরবিহীন সামরিক মহড়া থেকে বেশ কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে চীন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে এই সামরিক মহড়া শুরু হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল চীন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি বলছে, নির্ধারিত সময়েই মহড়া শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে আগামী রোববার বেলা ১২টায়। তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ এই সামরিক মহড়া থেকে তাইওয়ানের আশপাশের জল এবং আকাশে তাজা গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছে।
চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, পরিকল্পিত মহড়ার অংশ হিসাবে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের জলে প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের একাধিক ফায়ারিং সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে চীন তাইওয়ানের আশপাশে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। তারপরই এবারই প্রথম ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে তীব্র উত্তেজনার মাঝে সামরিক মহড়া থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বেইজিং।