গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। এদিকে তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদানের দামও বাড়তি। পুরো মাসের খরচ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বেশি বিপদে। কারণ যে যেভাবে তাদের জীবনযাপনের অভ্যাস, তার খরচ জোগাড় করাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
সাশ্রয়ী স্বভাব হলে খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা প্রতিদিন এমনকিছু খরচ করি, যেগুলো না করলেও চলে। যেমন ধরুন গ্যাসের কথা। রান্না করতে গিয়ে আমরা না বুঝেই অনেকটা গ্যাস খরচ করে ফেলি। যে কারণে মাস শেষে খরচের পাল্লাও হয় ভারী। আপনার কিছু কাজ করতে পারে গ্যাস সাশ্রয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভেজা পাত্রে রান্না নয়
অনেকেই আছেন যারা ভেজা পাত্র চুলায় বসিয়ে দেন। এটি করবেন না। বরং শুকনো ও পরিষ্কার পাত্র চুলায় দিয়ে রান্না করুন। এতে পানি শুকানোর জন্য বাড়তি সময় লাগবে না। তাতে গ্যাসের খরচ কম হবে। এছাড়াও কোনোকিছু ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসারি রান্না বসাবেন না। রান্না শুরুর আগে অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। এরপর রান্না করুন। এতে গ্যাস সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
সব কাজ গুছিয়ে রান্না শুরু করুন
অনেকে চুলায় রান্না চাপিয়ে এরপর সবজি, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি কাটাকুটি করেন। রান্না চাপিয়ে রান্নার প্রস্তুতি নিলে তো গ্যাস বেশি খরচ হবেই। তাই আগে থেকে সব কাটাকুটি, ধোয়া ইত্যাদি শেষ করে প্রস্তুত করে নিন। এরপর চুলায় শুকনো পাত্র বসিয়ে তাতে রান্না চড়িয়ে দিন। গ্যাস যেন অযথা খরচ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই।
তাপ নিয়ন্ত্রণ
গ্যাসের চুলায় রান্নার পাত্র দেওয়ার পর কিছুক্ষণ জ্বাল বাড়িয়ে রাখুন। পাত্রটি গরম হয়ে গেলেই জ্বাল কমিয়ে দিন। এরপর হালকা বা মাঝারি তাপমাত্রায় রান্না করুন। প্রথমে পাত্র গরম করার জন্য তাপ বাড়াতে হবে। রান্নার পাত্র একবার গরম হয়ে গেলে আর বাড়তি তাপের প্রয়োজন পড়ে না। বেশিরভাগ রান্নাই অল্প বা মাঝারি আঁচে ভালো হয়।
থার্মোফ্লাক্স ব্যবহার
আপনার বাড়িতে যদি ঘন ঘন চা বা কফি খাওয়া হয়ে থাকে তবে থার্মোফ্লাক্স ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে অনেকটা সময় গরম পানি ধরে রাখা যাবে। বারবার চুলা জ্বালানোর প্রয়োজন হবে না। ফলে কমবে গ্যাসের খরচ। চা বা কফি খেতে মন চাইলে থার্মোফ্লাক্সের পানি দিয়েই খেতে পারবেন।