ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় আরও ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাগাজি শরণার্থী শিবিরেই শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গাজায় ২০ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি শিশু এবং বাকিদের বেশিরভাগই নারী।
সোমবার মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এক নারী কান্না করতে করতে বলেন, আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। আমার পাঁচ ভাইয়ের সবাইকেই তারা হত্যা করেছে। তারা কাউকেই ছাড়েনি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ক্যাম্পের একটি আবাসিক চত্বরে ইসরায়েলি হামলায় সাতটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাগাজির বাসিন্দা জেয়াদ আওয়াদ বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক মানুষকে রেহাই দেয় না।
গাজায় ক্রিসমাসের আগের রাতে ইসরায়েল তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। অনেক পরিবার ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা হিন্দ খুদারি মাগাজি থেকে জানান, একটি তিনতলা ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসরায়েল। এছাড়াও আরও বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাঁচজন এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। কোনো উদ্ধারকারী না থাকায় নিজের খালি হাতে তিনি খনন করার চেষ্টা করছিলেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার সম্ভাব্য ২৪ লাখ মানুষের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সর্বাত্মক অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষ নানামুখী সংকটের মুখোমুখী হয়েছে। খাবার নেই, পানি নেই। তীব্র শীতে সামান্য বাসস্থানটুকুও নেই। যেটুকু সাহায্য মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।