গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পিরিয়ড মিস করাকেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এটিই গর্ভবতী হওয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে পিরিয়ড মিস করার আগেই বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী। এসব লক্ষণ কেবল গর্ভবতী হওয়াই নির্দেশ করে না, অনেক সময় শারীরিক অন্য কোনো অসুস্থতার কারণেও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস করার আগে এই লক্ষণগুলো গর্ভবস্থার সুখবর দেয়-
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
শরীরের তাপমাত্রা ডিম্বস্ফোটনের আগে বৃদ্ধি পায় এবং পিরিয়ড সাইকেলের পরে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। গর্ভাবস্থার শুরু থেকে শরীরের তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়েই বেশি থাকতে পারে। এসময় প্রোজেস্টেরনের উচ্চ মাত্রার কারণে এমনটা হয়। ডিম্বস্ফোটনের পরে শরীরের তাপমাত্রা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকে, তাহলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিন।
স্তনে পরিবর্তন
স্তন যদি আগের থেকে কোমল এবং ভারী হয়ে যায় তবে সেটি হতে পারে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। কারণ গর্ভধারণের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্তনে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। স্তনবৃন্ত আরও ডার্ক হতে শুরু করে, সেইসঙ্গে চুলকানি বোধ হয়। হঠাৎ করে এমনটা হলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করান।
ক্লান্তি
তন্দ্রা লাগা এবং অত্যাধিক ক্লান্তি হতে পারে গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। গর্ভে ভ্রূণ সঞ্চার হলে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে। এই পরিবর্তনের কারণে সব সময় ক্লান্তি অনুভূত হয়। প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে সবসময় ঘুম পেতে থাকে। ক্রমবর্ধমান ভ্রূণকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য শরীরে আরও বেশি রক্ত উৎপাদিত হয়, যে কারণে বাড়ে ক্লান্তি।
বমি বমি ভাব
গর্ভাবস্থার অন্যতম সাধারণ লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব। এই সমস্যাকে মর্নিং সিকনেসও বলা হয়। গর্ভাবস্থা শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহ শরীরে অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তবে শুধু সকালে নয়, দিনের যেকোনো সময়েই এই সমস্যা হতে পারে। এসময় হালকা গন্ধকেও অনেক তীব্র মনে হতে পারে। যে কারণে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব
ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। জরায়ু বড় হতে থাকলে মূত্রাশয়ে চাপ পড়ে, যে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
এসময় রক্ত ফিল্টার করার জন্য কিডনির কাজ আরও বেড়ে যায়, ফলস্বরূপ ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।