অনেকেই আছেন খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেওয়ার পরেও ভুঁড়ি কিছুতেই কমছে না। এর অন্যতম কারণ আপনার শরীরে কতটা ক্যালোরি প্রবেশ করছে, সে সম্পর্কে না জানা। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। এ জন্য অবশ্য কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনা দরকার। চলুন জেনে নেই সেসব-
হাতের যা পান, তাই খান
মন খারাপ বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলেই কিছু টুকিটাকি খাবার ইচ্ছা বেড়ে যায়। তখনই সমস্যা বাড়ে। হাতের কাছে যা মেলে, তা-ই খেয়ে ফেলেন অনেকে। ক্যালোরির হিসাব রাখার কথা মনে থাকে না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে টুকটাক খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাসে বদল আনতে হবে। পপকর্ন, বাদাম, চিঁড়ে ভাজা খাওয়াই যেতে পারে, তবে পরিমিত মাত্রায়।
মাছ-সবজি-ফল-দুধ বেশি নয়
মাছ-সবজি-ফল-দুধ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো বলেই জানেন অধিকাংশ মানুষ। তবে তার মানে এমন নয় যে, সে সব খাবার যত খুশি খাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যকর খাবারও মাপ মতো না খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢুকবে শরীরে।
স্যালাড খাওয়াতে মানতে হবে নিয়ম
স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই অনেকের কাছে স্যালাড। তবে স্যালাডে স্বাদ আনতে অনেকে নানা ধরনের ড্রেসিং রাখেন বাড়িতে। তাতে স্যালাড খাওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু ক্যালোরি মোটেও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। স্যালাড ড্রেসিংয়ে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকে।
কফিতে সাবধান
বার বার টুকটাক খাওয়া বন্ধ করতে কাজের ফাঁকে বাইরে থেকে কেনা তৈরি কফি খেয়ে থাকেন কেউ কেউ। কফিতে ব্যবহৃত ক্রিম, চিনিতে প্রয়োজনের চেয়ে অনেকটাই বেশি ক্যালোরি থাকে। যা অজান্তেই প্রবেশ করে শরীরে। ফলে এখন থেকে কফিতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
মদ্যপান একদমই নয়
নিয়ম মেনে ডায়েট করলেন ঠিকই। তবে বিশেষ অনুষ্ঠানে গিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মদ্যপান করলেন। তখনই অজান্তে বেড়ে গেলো শরীরে ক্যালোরির মাত্রা। ডায়েট করার সময় কিন্তু মদ্যপান থেকেও বিরত থাকতে হবে।