কোরবানির দিনগুলোতে যেসব দোয়া বেশি পড়বেন

হজ ও কোরবানির দিনগুলোতে বিশেষ করে ইয়াওমে আরাফির দিন ৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত হজপালনকারী, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় অবস্থানকারী এবং কোরবানিদাতার জন্য নিজেদের গুনাহ মুক্তিতে বেশকিছু দোয়া বেশি বেশি পড়া জরুরি। সেই দোয়াগুলো কী?

মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় অবস্থানকারী ও কোরবানিদাতার জন্য আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফে চোখের পানি ফেলে কান্নাকাটি করাও জরুরি। ক্ষমা ও কল্যাণ পাওয়ার আশায় তাসবিহ, তাহলিল ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা একান্ত করণীয়। বিশেষ করে আরাফার দিন দোয়া করা। হাদিসে এসেছে-
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো আরাফার দোয়া। আর আমি ও আমার আগেকার নবিগণ যে শ্রেষ্ঠ দোয়া করেছেন তাহলো-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ المُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ – بِيَدِهِ الْخَيْر – يُحْيِى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرً
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু; বিইয়াদিহিল খাইর; ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কেনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁরই জন্য রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সব প্রশংসা। তাঁর হাতেই রয়েছে সব কল্যাণ। তিনিই বাঁচান ও তিনিই মারেন। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’

তাবারানির বর্ণনায় এসেছে, ‘দোয়াটি আরাফার দিন সন্ধ্যায় পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য বর্ণনা এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাজের শেষে সালাম ফিরানোর পরপরই এ দোয়াটি ১০বার পড়বে; সে ব্যক্তির জন্য প্রতি বারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লেখা হবে; ১০টি গুনাহ মুছে দেয়া হবে এবং তার মর্যাদার স্তর ১০টি করে উন্নীত করা হবে।ৎ
এছাড়াও এটি তার জন্য মন্দ কাজ থেকে রক্ষাকবচ হবে এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে সে নিরাপদ থাকবে। আর কোনো পাপ তাকে স্পর্শ করবে না (অর্থাৎ তাকে ধ্বংস করতে পারবে না) শিরক ব্যতিত। অতঃপর সে ব্যক্তি হবে সবার চেয়ে উত্তম আমলকারী। (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)

سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُلِلّهِ وَ لَا اِلَهَ اِللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’
অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (মুসলিম, মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِى وَ دُنْيَاىَ وَ اَهْلِىْ وَ مَالِىْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনিয়ায়া ওয়া আহলি ওয়া মালি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, আমার পরিবার ও বিষয়-সম্পদে তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَ ضَلَعِ الدَّيْنِ وَ غَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া দালায়িদ দাইনি ওয়া গালাবাতিল রিজালি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, ভিরুতা ও কৃপণতা থেকে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের জবরদস্তি থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِن اَرْذَلِ الْعُمُرِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِن فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া ওয়া আজাবিল কাবরি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভিরুতা থেকে; আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা থেকে; আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্বরাজীর্ণ বয়স থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফেতনা ও কবরের আজাব থেকে।’ (বুখারি ও মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَ تَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَ فُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَ جَمِيْعِ سَخَطِكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নিমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফাতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে মোতার নেয়ামত চলে যাওয়া থেকে; তোমার দেয়া সুস্থতার পরিবর্তন থেকে; তোমার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ থেকে এবং তোমার যাবতীয় অসন্তুষ্টি থেকে।’ (মুসলিম, মিশকাত)

رَبِّ اَعِنِّىْ وَ لَا تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِىْ وَ لَا تَنْصُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِىْ وَ يَسِّرِ الْهُدَى لِىْ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি আয়িন্নি আলা তুয়িন আলাইয়্যা ওয়াংছুরনি ওয়া লা তাংছুর আলাইয়্যা ওয়াহদিনি ওয়া ইয়াস্সিরিল হুদা লি।’
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সহায়তা দাও এবং আমার বিরুদ্ধে সহায়তা করো না। আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে সাহায্য করো না। আমাকে হেদায়াত দাও এবং আমার জন্য হেদায়েতকে সহজ করে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن جَهْدِ الْبَلَاءِ وَ دَرَكِ الشَّقَاءِ وَ سُوْءِ الْقَضَاءِ وَ شَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালায়ি ওয়া দারাকিশ শাক্বায়ি ওয়া সুয়িল ক্বাজায়ি ওয়া শামাতাতিল আ’দায়ি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট থেকে; দুর্ভাগ্যের আক্রমন থেকে; মন্দ ফায়ছালা থেকে এবং শত্রুর হাসি থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِيْنِكَ – اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা; আল্লাহুম্মা মুছার্রিফাল কুলুবি ছার্রিফ কুলুবানা আলা ত্বাআতিকা।’
অর্থ : ‘হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের ওপর দুঢ় রাখ। হে অন্তরসমূহের রূপান্তকারী! আমাদের অন্তরসমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত, মুসলিম)

اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْهُدَى وَ التُّقَى وَ الْعَفَافَ وَالْغِنَى
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুপথের নির্দেশনা, পরহেজগারিতা, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম, মিশকাত)

সাইয়্যিদুল ইসতেগফার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ দোয়াটি পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে সে জান্নাতি।’ (বুখারি)-
اَللَّهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِى وَ أَنَا عَبْدُكَ وَ أَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَ وَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ – أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ – أَبُوْءُلَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ و أَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ – فَاِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্বতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাত্বাতু। আউজুবিকা মিন শার্রি মা ছানা’তু। আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার দাস। আমি তোমার কাছে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপরে সাধ্যমত দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মগুলির অনিষ্টকারিতা থেকে তোমার পানাহ চাচ্ছি। আমার ওপরে তোমার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতিত ক্ষমা করার কেউ নেই।’ (বুখারি, মিশকাত)

سُبْحَانَ الله – اَلْحَمْدُ لِلَّهِ – اَللهُ اَكْبَرُ – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ سَيْئٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার), আলহামদুলিল্লাহ (৩৩বার), আল্লাহু আকবার (৩৩বার/৩৪বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির (১বার)
অর্থ : আল্লাহ মহাপবিত্র; যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আল্লাহ সবচেয়ে মহান; আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই।; তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সব প্রশংসা। তিনি সব বস্তুর ওপর ক্ষমতাশালী।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এ দোয়অ পাঠকারী নিরাশ হবে না।’ তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের শেষে এ দোয়া পাঠ করবে, তার সব গুনাহ মাফ করা হবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়।’ (মুসলিম, মিশকাত)

سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ – سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানিাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি; সুবহানাল্লাহিল আজিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা মহা পবিত্র; মহা পবিত্র আল্লাহ; যিনি মহান।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কালেমা দু’টি উচ্চারণে খুবই হালকা, মিজানের পাল্লায় খুবই ভারি, কিন্তু আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

আয়াতুল কুরসি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক ফরজ নামাজের শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠকারীর জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোনো বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতিত।’ (নাসাঈ)
ঘুমানোর সময় তা পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার কাছে না আসতে পারে।’ (বুখারি, নাসাঈ, মুসলিম, মিশকাত)
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণ : আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহু মা ফিস্-সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি। মাং জাল্লাজি ইয়াশফাউ’ ইংদাহু ইল্লা বি-ইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইয়্যিম্ মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া লা ইয়াউ’দুহু হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিয়্যুল আজিম।

اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা ওয়া হারামিকা ওয়া আয়িন্নি বিফাজলিকা আম্মান সেওয়াকা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ব্যতিত হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ দোয়া পাঠ করলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন।’ (তিরমিজি, বাইহাকি, মিশকাত)

يَا حَىُّ يَا قَيُّوُمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغَيْثُ
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কায়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব জাহানের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

অথবা দোয়া-ই ইউনুস পড়তেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি মহা পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভূক্ত।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মাছের পেটে ইউনুছ আলাইহিস সালাম এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন (এবং মুক্তি পেয়েছিলেন)। কোনো মুসলিম বিপদে পড়লে এ দোয়া পাঠের ফলে আল্লাহে তা থেকে রক্ষা করবেন এবং তার আবেদন কবুল করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)

اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ القَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহ হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তাওবা করছি।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এ দোয়া পড়লে (আল্লাহ বান্দাকে) ক্ষমা করে দেবেন। যদিও সে জেহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)

জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِى الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনি মিনান্নার’ (৩বার)।
‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।’
এ দোয়া পড়লে জান্নাত বলে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাত দাও। অন্য দিকে জাহান্নাম বলে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।’ (তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজপালনকারীদেরকে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় অবস্থানকারী ও কোরবানিদাতাদেরকে উল্লেখিত দোয়াগুলো নিয়মিত বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। সবার হজ ও কোরবানিকে কবুল করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ