কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।
মো. আলমগীর বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোট কক্ষে (ভোটাররা যেখানে ভোট দেবেন সেই গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। যাতে সেখানে কোনা অনিয়ম হলে পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন বা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোট গণনা হয়ে রেজাল্ট ঘোষণার পর ক্যামেরা অপসারণ করা হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোট গণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিটি স্তরে রাখতে হবে। এটা আমাদের আইনেই আছে।
কুসিক নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজ থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আগামী ১৫ মে থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার পর্যন্ত কুসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কুসহ ১৬৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (১১ মে) রাতে এ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (পরিচালনা) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন, মনিরুল হক সাক্কু, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম ও কামরুল আহসান বাবুল। এদের মধ্যে কামরুল আহসান বাবুল মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।