কলা খেয়ে খোসা যেখানে সেখানে ফেলবেন না। এতে পা পিছলে পড়ার ভয় থাকে। কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এটি বিভিন্ন কাজেও ব্যবহার করা যায়, সেকথা কি জানতেন? ঘরোয়া কিছু কাজে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। পুষ্টিগুণে ভরা কলা সারা বছরই পাওয়া যায়। সকালের নাস্তায় অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। হাতের নাগালে থাকা এই ফলের খোসাও কম উপকারী নয়। বিশেষ করে ঘরোয়া কাজে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কাজে কলার খোসার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে-
মাংস নরম করে
অনেক সময় মাংস রান্না করার পরও শক্ত হয়ে থাকে। ফলে সেই মাংস খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। মাংস নরম করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসা কুচি করে নিন। এরপর মাংস রান্নার আগে কলার খোসার কুচি দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে মাংস দ্রুত নরম হবে।
জুতা চকচকে করে
ভাবছেন, জুতার সঙ্গে কলার খোসার আবার কী সম্পর্ক! আপনার শখের জুতাজোড়া চকচকে করতে কিন্তু এটি দারুণ কার্যকরী। জুতা পালিশের কাজে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। পাকা কলার খোসা নিয়ে জুতার উপর ভালো করে ঘষে নিন। এতে জুতা চকচকে হবে।
রূপার গয়না চকচকে করে
টুকিটাকি রূপার গয়না প্রায় সব নারীরই থাকে। কিন্তু এ ধরনের গয়না অনেকদিন অব্যবহৃত থাকলে তা উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। রূপার গয়না পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেই মিশ্রণ দিয়ে গয়না পরিষ্কার করে নিন। এতে গয়না আগের মতোই চকচকে হবে।
সার হিসেবে ব্যবহার
কলার খোসা সার হিসেবে ভালো কাজ করে। পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে তা টুকরা করে কেটে নিন। এরপর যেখানে গাছ লাগাবেন, সেই মাটির নিচে টুকরা করা কলার খোসা পুঁতে দিন। এই খোসা থেকে মাটি মিথেন গ্যাস তৈরি করবে। যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আবার কলার খোসা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে পরদিন সেই পানি গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এতেও গাছ বাড়বে দ্রুত।