চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার মইজ্জারটেক বাজারে আনা একটি গরুর নাম দেওয়া হয়েছে হিরো আলম। লাল রঙের গরুটি এখনো বিক্রি হয়নি। প্রায় প্রায় ১১ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। তবে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পেলে ঘরে পালন করা শখের গরুটি ছেড়ে দিতে চান ব্যাপারী মনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি। তার বাড়িতে গরুটি পালন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, এ বাজারে মোট ৮টি গরু এনেছেন তিনি। এর মধ্যে ছয়টি বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও দুটি গরু রয়ে গেছে। এর মধ্যে শখ করে দেওয়া হিরো আলম নামে গরুটি বিক্রি হয়নি।
মইজ্জারটেক বাজারে আরেকটি বড় সাইজের গরুর নাম দেওয়া হয়েছে রাজা বাবু। ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলা থেকে গরুটি এনেছেন বাবলুর রহমান নামে একজন। তিনিও নিজ বাড়িতে গরুটি পালন করেছেন। ৩ বছর ৬ মাস বয়সী গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮ লাখ। তবে ৬ লাখ পেলে আনুমানিক ২৪ মণ ওজনের গরুটি ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক মালিক।
বাবলুর রহমান বলেন, গরুটির পেছনে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। ছয় লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করলেও লোকসান হবে। তারপরও করার কিছু নেই। বিক্রি করতে তো হবে। আজকে পর্যন্ত গরুটির দাম ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কী হয় দেখা যাক।
এদিকে এ বাজারের ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার থেকে মোটামুটি গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেও গরু বিক্রি চলছে। এই বাজারে বড় সাইজের গরু বিক্রি বেশি হচ্ছে।
ইজারাদারের পক্ষে বাজারে চাঁদা আদায়কারী মো. আসাদুল্লাহ বলেন, হাজারে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বাজারে টাকা কালেকশনের জন্য মোট অস্থায়ী ২৪টি টেবিল বসানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আমাদের একটি টেবিলেই মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় হয়েছে।