৯২ মণ ইলিশ নিয়ে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। পরে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ২০ লাখ ২৪ হাজার টাকায়।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এসব মাছ মহিপুরের ঝুমুর অ্যান্ড বাদ্রার্স নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে আসা ‘এফবি মা জননী’ নামের ট্রলারের জেলে ফরিদ মাঝি বলেন, ৮ দিন আগে আমরা ১৭ জন জেলে মাছ ধরতে সাগরে যাই। প্রথম দিকে তেমন মাছ পাচ্ছিলাম না। অনেকটা হতাশা নিয়েই সাগরে জাল ফেলছিলাম। পরে গভীর সাগরে পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে যাই। সেখানে অল্প মাছ পাই। পরের দিন আরও একটু গভীরে গিয়ে জাল ফেলার পর সেখানে আমাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। এভাবে ট্রলারবোঝাই হয়ে গেলে আমরা ঘাটের দিকে ফিরে আসি।
‘এফবি মা জননী’ ট্রলারের মালিক শহীদ কোম্পানী বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। তার মধ্যে এই শীত মৌসুমে এত পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। এই মাছ বিক্রি করে আগের সব লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। ৯২ মণ ইলিশ আমি ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি।
মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, শীতের মৌসুমে এমনিতেই আমাদের তেমন একটা মাছের দেখা মিলে না। এর মধ্যে হঠাৎ এত মাছ নিয়ে ঘাটে আসায় অন্য জেলেরাও উৎসাহ পেয়েছে। জেলেদের এই উৎসাহ সারা বছর থাকলে আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হব। আশা করি সমুদ্রে থাকা সব জেলারাই ভালো মাছ পাবেন।