গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকায় শীত খানিকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতিতে রয়েছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও কমেছে।
ঢাকায় হঠাৎ শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ কী? এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনূর ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এটি আরও দুদিন থাকতে পারে।
ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাপমাত্রা কিন্তু তেমন একটা কমেনি। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া বাতাস শীতের অনুভূতি বাড়িয়েছে। আজ ঢাকায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার।
ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারছে না উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেখা যাচ্ছে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকছে। আবার কুয়াশা কাটতে না কাটতে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সূর্যের তাপ কম সময় ধরে পাওয়া যাচ্ছে। কুয়াশা যদি দ্রুত কেটে যেত তাহলে সূর্যের তাপ বেশি সময় ধরে পাওয়া যেত। সেক্ষেত্রে শীত কম অনুভূত হতো।
এছাড়া ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ শাহীনূর ইসলাম বলেন, আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুই তিনদিন আগেও ছিল ২৫ ডিগ্রির ঘরে।
আরো অন্তত দুই দিন আবহাওয়ায় এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে এবং আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শীত কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, এটি আরও কমতে পারি কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমলেও তা একেবারে বেশি কমবে না।
এদিকে উত্তরের জনপদেও বইছে কনকনে বাতাস, সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আর শীত বাড়তে শুরু করায় ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাদর বিছিয়ে বা ভ্যানে করে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে।