টানা পাঁচদিন ছুটি শেষে খুলছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে এখনো ব্যাংকপাড়া মতিঝিলে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা নেই। প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিও কম। যারা এসেছেন তাদের কাজের চাপ কম থাকায় গল্প-গুজব আর কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
রোববার (২ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যাংকগুলোতে কাজের চাপ কম থাকায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও চিত্র একই।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল কারিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের পর আজ প্রথম দিন গ্রাহক উপস্থিতি কম। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে লেনদেন চলছে। অবস্থা স্বাভাবিক হতে এ সপ্তাহ লেগে যাবে।
কর্মী উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, কিছু কর্মী ঈদে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন। বাকিরা সবাই আজকে উপস্থিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যাংকে কর্মী উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হবে।
সোনালী ব্যাংকে সেবা নিতে আসা আকরাম হোসেন নামের এক গ্রাহক জানান, একটা পে-অর্ডারের চেক ছিল এটা জমা দিতে এসেছি। ঈদের আগের চেক কিন্তু ব্যস্ততার কারণে জমা দিতে পারিনি। তাই ব্যাংক খোলার প্রথম দিন এলাম জমা দিতে। ঢাকার রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা, যানজট নেই। তাই সহজেই ব্যাংকে এলাম, এখানেও ভিড় কম, এসেই কাজ শেষ করলাম।
বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখাতেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাংকটিতে গ্রাহক কম। দুই-একজন বিশেষ প্রয়োজনে আসছেন আবার সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, সবসময় ঈদের পর লোকজন কম থাকে। ঈদে গ্রামের বাড়ি গেছেন অনেক মানুষ। তারা পর্যায়ক্রমে তারা ঢাকায় ফিরবেন। তাই কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেতে এ সপ্তাহ লেগে যাবে।
ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এবার নির্বাহী আদেশে ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়িয়ে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত (মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) চারদিন ছুটি ছিল। এর পরদিন ১ জুলাই (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবারের ঈদের ছুটি হয় পাঁচ দিন। টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে আজ অফিস পাড়ায় যোগ দেন কর্মজীবীরা।