চোরাই মোবাইল কারবারি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর পুলিশ বিভাগ। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চুরি হওয়া মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করে আসছিল।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী এলাকা থেকে মো. রাসেল (৩১) নামে এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন কাফরুল থানা এলাকা থেকে মো. কবির (২৫) ও মো. সিয়াম নামে চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ১১০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও দুটি এসএসডি ড্রাইভ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিসি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (মিরপুর বিভাগ) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পারি—রাসেলসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছিনতাই বা চোরাইকৃত মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বাজারজাত করে থাকে। রাসেলকে ছয়টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করি। ল্যাপটপ ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করত রাসেল।
তিনি আরও বলেন, রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কবির ও সিয়ামের নাম জানতে পারি। শাহ আলী প্লাজার ৫ম তালার ভূঁইয়া টেলিকম দোকানে এই চক্রটি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের কাজ করত। ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০৪টি চোরাই মোবাইল ও হার্ডডিক্স জব্দ করা হয়।
মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, রাসেল গত দেড় বছর যাবত এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাসেলের চক্রের কাজ হলো চুরি-ছিনতাই করা মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন। চোরাই মোবাইল চক্রের একটি অংশ ছিনতাই করা মোবাইল কম দামে কিনত। পরবর্তীতে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের পরে বিভিন্ন দোকানে মোবাইলগুলো বিক্রির জন্য ডিসপ্লে করা হতো।
এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের জিডি বা মামলার যাচাই-বাছাই করে সেগুলো আসল মালিককে ফেরত দেওয়া হবে। চুরি-ছিনতাই কমার জন্য সবসময় আমাদের মোবাইল পেট্রলিং টিম কাজ করে যাচ্ছে।